ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যেকোনো যায়গায় বসে আপনার পছন্দমত সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন।
কাজ করার সময়সুচি এবং কাজের ধরন আগে থেকে আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন। কাজ করার এমন স্বাধীনতা না পূর্বে কখনও ছিল, না ভবিষ্যতে এমন হবে।

দারুন এই কাজের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। অনেকেই এখন পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সার হবার কথা ভাবছেন, কিন্তু কোথায় থেকে শুরু করবেন জানেন না।
নিচে আমরা ৫টি ধাপে শিখবো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়।

১। কাজের ধরন নির্বাচনঃ
প্রথমেই আমাদের কাজের ধরন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা এবং একটা জুতসই কাজ নির্বাচন করতে হবে। নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন।
জনপ্রিয় ৪ টি কাজের ধরন হলঃ
(ক) প্রোগ্রামিং বা কোডিং।
(খ) গ্রাফিক্স ডিজাইন।
(গ) ডিজিটাল মার্কেটিং।
(ঘ) কন্টেন্ট রাইটিং।
২। কাজের স্যাম্পল বা নমুনা তৈরি করাঃ
এবার কাজ শিখে বেশ কিছু স্যাম্পল বা নমুনা তৈরি করাতে যে কেউ বুঝতে পারবে আপনি কি ধরনের কাজ করেন। একে পোর্টফলিও বলা হয়। একজন ফ্রিল্যান্সার – এর পোর্টফলিও দেখে বিচার করা হয় তার সক্ষমতা কত। সময়ের সাথে সাথে নিজের পোর্টফলিও আপডেট বা পরিবর্তন হতে থাকবে। অনেক উপায়ে পোর্টফলিও বানানো যায়।
পোর্টফলিও-তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
(ক) পূর্ব অভিজ্ঞতা।।
(খ) কন্টাক্ট ইনফরমেশন।
(গ) কি ধরনের কাজে আগ্রহি।
(ঘ) কেস স্টাডি।
৩। মার্কেট-প্লেস এ কাজ খোজাঃ
কাজ শেখার পর দরকার জুতসই কাজ পাওয়ার। আর কাজ পাওয়ার জন্য যেতে হবে বাজারে। যেখানে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই থাকবে। না, সত্যিকারের কোন বাজারে যেতে হবে না। কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের সুবিধায় আপানি ঘরে বসেই বাজারে যেতে পারবেন। ইন্টারনেটের ভাষায় একে মার্কেট-প্লেস বলে।
৪ টি জনপ্রিয় মার্কেট-প্লেস গুলোর নাম হলঃ
(ক) Upwork.com
(খ) Freelancer.com
(গ) Fiverr.com
(ঘ) Guru.com
৪। দারুন কাস্টমার সার্ভিস দেওয়াঃ
ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়ার পর দারুন কাস্টমার সার্ভিস দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে আপনার একমাত্র কাজ হবে আপনার সার্ভিস দিয়ে কাস্টমার বা ক্লাইন্ট-কে খুশি রাখা। সে কি চায় খুব ভালভাবে বুঝা, মনোযোগ দিয়ে তার মেসেজ এর রিপ্লাই দেয়া। শালীনতা বজায় রেখে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোথা বলাতে প্রাধান্য দিতে হবে।
৫। নিজের স্কিল ডেভেলপ করাঃ
সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ নিয়ে এবার একটু কথা বলা যাক। অনলাইন দুনিয়ায় পরিবর্তন খুব জলদি হয়। ৬ মাস কিংবা ১ বছরের আগের কাজকর্ম, সিস্টেম পুরাতন হয় হটাত করেই। নিজেকে সেই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়, আবার নতুন একটা স্কিল শিখতে হয়, আবার পুরাতন হয় এবং আবার শিখতে হয়। এভাবেই চলতে থাকে ননস্টপ।
এতে কষ্ট হয়, হতাশাও বাড়ে বাড়ে। তবে বারবার স্কিল আপডেট করার ফলে আপনি নিজেও আর পুরাতন মানুষ থেকে একজন নতুন মানুষ হয়ে উঠেন। নতুনের সাথে মানিয়ে চলতে আপনার আর কষ্ট হয় না। পারসনাল গ্রোথ হয় দারুন।
এক্সাইটমেন্ট এর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম।